
নাছির উদ্দীন ঃ সোমবার (৩ মার্চ) রাত ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নেজাম ও তার সহযোগীরা ছনখোলা এলাকায় উপস্থিত হলে তারাবির নামাজ শেষে বের হওয়া মুসল্লিরা তাদের ঘিরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন যে এলাকায় ডাকাত পড়েছে। এতে নেজাম বাহিনীর সদস্যরা গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালায়, ফলে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে এলাকাবাসী নেজাম ও তার সহযোগী ছালেককে ধরে গণপিটুনি দিলে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে দুইজন মারা গেছেন এবং কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতদের লাশ থানায় নেওয়া হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে। গুলিবিদ্ধ আহতদের মধ্যে চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস জানান, নিরাপত্তাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, একটি দল ডাকাতি করতে এলে এলাকাবাসী মসজিদের মাইকে প্রচার করে। ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলে দুইজনকে ধরে গণধোলাই দেওয়া হয়, এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন এবং বিস্তারিত পরে জানাবেন।
এ ধরনের গণপিটুনির ঘটনা বাংলাদেশে মাঝেমধ্যেই ঘটে থাকে। মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের নভেম্বরে দেশে অন্তত ১৯টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ১০ জন নিহত ও ১১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় দায় কার, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা উচিত।