
চাটগাঁর টিভি ডেস্ক:
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিজান গ্রুপের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বিদেশি পিস্তল, গুলি, দেশীয় অস্ত্র ও মাদক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এই গ্রুপটি দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় ও উদ্ধারকৃত সামগ্রী
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—মোহাম্মদ মিল্লাত (২৪), মোহাম্মদ আবুল হাসনাত ফাহিম (২০) ও মো. রুবেল (২৬)। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।
অভিযানে উদ্ধারকৃত সামগ্রী:
- দুটি বিদেশি পিস্তল
- নয় রাউন্ড গুলি
- দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন
- একটি হাঁসুয়া ও ছুরি
- পাঁচটি মোবাইল ফোন
- ১১০টি ইয়াবা ট্যাবলেট
অভিযানের পেছনের কারণ
পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওয়াজেদিয়া এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবনে সন্ত্রাসী গ্রুপটি অবস্থান করছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। সন্ত্রাসীরা ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির পরিকল্পনা করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
“আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মিজান ও তার সহযোগীরা সেখানে জড়ো হয়েছে। ১৬ সদস্যের একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে মিজান পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে,” বলেন আমিনুল ইসলাম।
সন্ত্রাসী সাজ্জাদ এখন কোথায়?
সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, “সে অত্যন্ত কৌশলী, তবে আমরা তাকে ট্র্যাক করছি। নিশ্চিত হয়েছি যে, সে এখনো দেশে আছে। তাকে ধরতে বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
রাজনৈতিক আশ্রয়–প্রশ্রয়ের অভিযোগ
সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিক সংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা তদন্ত করে দেখছি, যদি তাদের কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় থেকে থাকে, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আইনি ব্যবস্থা ও পরবর্তী পদক্ষেপ
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের বিরুদ্ধে নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর কার্যক্রম পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে।