মো:নাজমুর হক ভূইয়া নিউজ এডিটর : মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কোটা সংস্কারের দাবিতে চট্টগ্রামে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ , যুবলীগ ও পুলিশের দফায় দফায় সংর্ঘে তিন জন নিহত এবং শতাধিক আহতের ঘটনা ঘটে এতে চারটি মামলা হয়েছে। মামলায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ।

(১৭ জুলাই) বুধবার সকালে এসব মামলা রুজু করা হয়। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, মঙ্গলবার বিকালে মুরাদপুর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি প্রায় সাত হাজার। এই তিন মামলার মধ্যে পুলিশ করেছে দুটি। অন্যটি আহত একজনের মা করেছেন। পুলিশের দুই মামলার বাদী পাঁচলাইশ থানার এসআই দীপক দেওয়ান।

মঙ্গলবার সংঘর্ষে তিন জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন। নিহতরা হলেন- ওয়াসিম আকরাম (২৩), ফয়সাল আহমেদ শান্ত (২৪) ও মো. ওমর ফারুক (৩২)। ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা গ্রামের শফিউল আলমের ছেলে। ফয়সাল চট্টগ্রামের ওমরগণি এমইএস কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র। ফারুক স্থানীয় একটি ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী এবং কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মো. দুলালের ছেলে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। মামলা আরও হবে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব মামলায় যাতে কোনও নিরপরাধ লোক আসামি না হয় এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের আমি নির্দেশনা দিয়েছি।