
অনলাইন ডেস্কঃ রোববার (১৯ মে) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, অর্থ পাচারকারীদের তথ্য যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সেজন্যই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ।
রিজভী আরো বলেন, গতকাল ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন যে, সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকবে কেন?’ বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পল্লি? বাংলাদেশ ব্যাংক কি একেবারে রেস্ট্রিক্টেড ক্যান্টনমেন্ট? ক্যান্টনমেন্টেও তো যদি বৈধ মানুষ যেতে চায়, তাদের তো কোনো অসুবিধা হয় না। আর বাংলাদেশ ব্যাংক তো জনগণের আমানত রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান। এটা তো সব সময় অ্যাকাউন্টেবিলিটির মধ্যে থাকবে,এখানে সাংবাদিকরা তো যেতেই পারে।
রিজভী বলেন, প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে, এখন তলানির দিকে আসছে। বৈদেশিক রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে সরকারের হাতে। আসলে ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার রয়েছে । এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের পাওনা পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার চলে যাবে, ডলার তো তলানিতেই।
মানে ক্ষুধায় জরাজীর্ণ কৃষ্ণ নারীর মুখে লিপিস্টিক দিলে যে অবস্থা হয়, শেখ হাসিনার উন্নয়ন হচ্ছে সেই রকম। এ ধরনের নারীকে সাজগোজ করলে যে রকম দৃশ্য লাগে, বাংলাদেশের অর্থনীতির দৃশ্য সেই রুগ্ন-ক্লিষ্ট নারীকে প্রসাধন চর্চিত করলে যেমন লাগবে, বাংলাদেশের অর্থনীতি তেমনই রুগ্ন-ক্লিষ্ট প্রসাধন চর্চিত একটি অর্থনীতি।”
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা একটা শূন্য গহ্বরের ভেতরে যেন বসবাস করছি, আমাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। কীসের উপর দাঁড়িয়ে আছি তা নিজেরাই বলতে পারব না। শুধু ব্যাংক থেকেই ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না, এটা সিডিপির বক্তব্য।
ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী কারা? এই অলিগার্কি কারা? এরা সবাই ক্ষমতা ঘনিষ্ঠ মানুষ, আওয়ামী লীগের লোকজন বা আওয়ামী লীগের অর্থ প্রদানকারী, আর্থিক সহায়তাকারী অথবা তাদের যারা, দলের যারা আজকে অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে তারা।
আজকে ঋণখেলাপি এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলছে যে, এদের ৯০ শতাংশ হচ্ছে ক্ষমতাঘনিষ্ঠ লোকেরা। ২০২২ সালে ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। একটি দেশের উন্নয়ন মানে তো সব দিক থেকে উন্নতি, আমাদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল, ব্যাংকগুলো ভায়াবেল, আমরা ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম উৎকর্ষতা লাভ করছি এমনতো না। আমরা যে বিনিয়োগ করব বা যারা বিনিয়োগ করবে, সেই বিনিয়োগ করার জন্য যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে আসতে হয়, সেটা কেনার জন্য তো ডলার নেই।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুর রহমান মাশুক, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ।