”ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্যকে হত্যার পর টুকরা টুকরা করে হাড্ডি থেকে মাংস আলাদা করা হয় “

অনলাইন ডেস্কঃ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের  হত্যাকাণ্ডে জড়িত জিহাদ হাওলাদারকে পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতের আদালত  ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন । আজ শুক্রবার (২৪ মে) তাকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) বিচারক শুভঙ্কর বিশ্বাসের এজলাসে তোলা হয়। সিআইডির পক্ষ থেকে ১৪ দিন রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল পরে বিচারক ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে এর আগে নৃশংস হত্যার সাথে জরিত থাকার অভিযোগে জিহাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়। জিহাদকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ২০১, ৩০২, ৩৬৪ -এ চার ধারায় মামলা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ধারা জামিন-অযোগ্য। বনগাঁও অঞ্চলের গোপাল নগরে বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন জিহাদ হাওলাদার। তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন বলে জানায় পুলিশ।

অভিযুক্ত জিহাদ বাংলাদেশি এবং একজন ‘দক্ষ কসাই’। অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বাস করছিলেন তিনি। জেরায় সে জানায়, তার নাম জিহাদ হাওলাদার, বাবা জয়নাল হাওলাদার খুলনার বাসিন্দা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীন দুই মাস আগে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন, এই কথা জানাই ভারতিয়  পুলিশ।

আখতারুজ্জামানের নির্দেশে কীভাবে তিনিসহ আরো চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে হত্যা করেন। হত্যার পর তারা ফ্ল্যাটে শরীর টুকরা টুকরা করে হাড্ডি থেকে মাংস আলাদা করা হয়। এরপর হলুদ মিশিয়ে পলি প্যাকে রাখেন, হাড় ছোট ছোট টুকরো করেন। তারপর প্যাকেটগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেন বলে জিহাদ জেরায় স্বীকার করেছেন।

উল্লেখ্য, আনোয়ারুল আজীম আনার ১২ মে সন্ধ্যায় ভারতের কলকাতায় যান । গোপাল বিশ্বাস নামের তার পূর্বপরিচিত বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাড়িতে ওঠেন তিনি। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে গোপালের বাসা থেকে ১৩ মে দুপুর ২টার দিকে তিনি বের হয়ে আর ফেরেননি। ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোপাল বিশ্বাস। ২২ মে আনোয়ারুল আজীমের খুন হওয়ার খবর প্রকাশ হয়।

পাঠক প্রিয়