
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁর নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান, যিনি ফয়সাল করিম মাসুদ নামেও পরিচিত।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। সন্দেহভাজনকে ধরিয়ে দিতে তথ্য চেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তাঁর গ্রেপ্তারে সহায়তার জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফয়সাল করিম দাউদ খান অতীতে কার্যক্রমনিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৯ সালে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য ছিলেন। ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ফয়সাল করিম দাউদ খান একই ব্যক্তি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, ওসমান হাদির সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে একই ব্যক্তির উপস্থিতি ছিল। এসব ছবিতে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে গুলিবর্ষণকারী সন্দেহভাজনের চেহারার মিল পাওয়ায় তাঁকে ঘিরে সন্দেহ আরও জোরালো হয়।
পেশাজীবীদের সামাজিক মাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে একটি প্রোফাইলও পাওয়া গেছে। সেখানে তিনি নিজেকে একাধিক আইটি প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রোফাইল অনুযায়ী, তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক এবং পরবর্তীতে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন রাজধানীর পুরানা পল্টনে মোটরসাইকেলযোগে এসে হামলাকারীরা ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁর অবস্থা এখনও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্দেহভাজন ফয়সাল করিমকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
চাটগাঁর টিভি/এসি
