আশুলিয়ার বন্ধ কারখানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের পোশাক কারখানা গুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কাজে ফিরেছে শ্রমিকরা। কয়েকটি কারখানা বন্ধ থাকলেও ধীরে ধীরে সব কারখানাই খুলে দেওয়া হবে।

চলমান শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে সাভারের আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চলে বেশ কিছুদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। এরমধ্যে দফায় দফায় বৈঠকের পরও শ্রম পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছিল না। কোনো কারখানায় অস্থিরতা হলে ওই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিজিএমইএ। ফলে রোববার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এদিন দুপুর পর্যন্ত অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ আছে ১৮টি কারখানা। আর দুটি কারখানায় সাধারন ছুটি ছিল।

শিল্পাঞ্চলে যে কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানা গুলোর সামনে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এছাড়া যৌথবাহিনীর টহলও অব্যাহত রয়েছে।
শিল্প পুলিশ জানায়, কাজ শুরু প্রথম ঘন্টায় ৪/৫টি কারখানার শ্রমিকরা কারখানার ভিতরে মালিকপক্ষের সাথে বিভিন্ন দাবির বিষয়ে আলোচনা করতে কাজ বন্ধ করে রাখলেও পরবর্তীতে এসব কারখানার শ্রমিকরাও কাজ শুরু করেছেন।

রবিবার আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গত শুক্রবার আশুলিয়ায় স্থানীয় নেতা ও মালিকদের সাথে এক বৈঠকের পর বিজিএমইএ সকল পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পরদিন শনিবার এই অঞ্চলে সব মিলিয়ে ৪৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ রাখা হলেও আজ (রবিবার) বন্ধ কারখানার সংখ্যা কমে এসেছে ২০টিতে। এমনকি কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বন্ধ থাকা কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে জেনারেশন নেক্সট, সান সোয়েটার, মাসকট ফ্যাশন, পার্ল গার্মেন্টস, মনগো টেক্স, মারমা কম্পোজিট লিমিটেড, জিনজিয়া ব্যাগ এন্ড ক্যাপস লিমিটেড।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, নতুন করে কোন কারখানা বন্ধ হয়নি। আগের বন্ধ কারখানা থেকেই বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারায় ১৮টি কারখানা অনিদির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ এবং দুটি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে। এর বাহিরে শিল্পাঞ্চলের সকল কারখানায় স্বাভাবিক রয়েছে উৎপাদন।

পাঠক প্রিয়