”আগ্নেয়াস্ত্র সহ কিশোর গ্যাং লিডার হেলাল বাদশাসহ গ্রেপ্তার ৮”

অনলাইন ডেস্কঃ চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানা পুলিশ  বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামি কিশোর গ্যাং লিডার হেলাল বাদশা চৌধুরীসহ কিশোর গ্যাং এর সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নগরের সময় তাদের কাছ থেকে ১টি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র   ২টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

গতকাল শুক্রবার রাতে নগরের খুলশী ও আকবর শাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কিশোর গ্যাং লিডার হেলাল বাদশা চৌধুরী (২৫), মো. রাকিব হোসেন (২২), মো. কাউসার (২২), মো. মেহেরাজ সামি (২১), শেখ সাদি হাসান (২০), মো. সাগর হোসেন (২৭), সাইফুল ইসলাম শান্ত (২৬) ও আব্দুর রহমান (২১)।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, গতকাল বিকেলে নগরের খুলশী নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে থেকে মো. আরিফ নামের এক কিশোরকে হেলাল বাদশার নেতৃত্বে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে ১০-১৫ জন সহযোগী ছিল। তারা ওই কিশোরকে পার্শ্ববর্তী বাটাগলির একটি খালি জায়গায় বেঁধে মারধর শুরু করে পরে তার পরিবারের কাছে মুঠোফোনে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি ভুক্তভোগীর ভাই রাকিব হোসেন পুলিশের জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল দিয়ে জানান। বিষয়টি খুলশী থানা-পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ অভিযান শুরু করে।

ওসি আরও জানান, খুলশী থানা-পুলিশের একটি দল প্রথমে নগরের বাকলিয়া এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরের আকবর শাহ ইস্পাহানি গেট পেট্রলপাম্পের পেছন থেকে হেলাল বাদশাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় অপহৃত কিশোরকে। ঘটনাস্থল থেকে হেলালের আরও সাত সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগরে অন্তত ২০০ কিশোর গ্যাং সক্রিয়। প্রতিটি দলে ৫-১৫ জন সদস্য রয়েছে। পুলিশের হিসাবে, নগরজুড়ে এসব গ্যাংয়ের সদস্যসংখ্যা অন্তত ১ হাজার ৪০০।

পুলিশের ভাষ্য, গত ছয় বছরে ৫৪৮টি অপরাধের ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে খুনের ঘটনা ঘটেছে ৩৪টি।